বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন জাভেদ মিয়াদাদ
বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন জাভেদ মিয়াদাদ বর্তমানে পাকিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আইকন বাবর আজম। ব্যাট হাতে তিনি যেমন নিয়মিত আলো ছড়াচ্ছেন, তেমনি তিন ফরম্যাটে পাকিস্তানকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। উভয় ভূমিকায় সমানভাবে অভিনয় করলেও বাবরের নেতৃত্ব প্রায়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। জাভেদ মিয়াঁদাদ এ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন অনুভব করেন। মিয়াঁদাদ প্রশ্ন তুলেছেন, ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স…
বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন জাভেদ মিয়াদাদ
বর্তমানে পাকিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আইকন বাবর আজম। ব্যাট হাতে তিনি যেমন নিয়মিত আলো ছড়াচ্ছেন, তেমনি তিন ফরম্যাটে পাকিস্তানকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। উভয় ভূমিকায় সমানভাবে অভিনয় করলেও বাবরের নেতৃত্ব প্রায়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। জাভেদ মিয়াঁদাদ এ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন অনুভব করেন।
মিয়াঁদাদ প্রশ্ন তুলেছেন, ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করার জন্য বাবরের চাপ আছে কি না। তিনি বলেন, 'বাবর একজন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) তাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে তিনি অধিনায়কত্বের জন্য চাপে আছেন কিনা। তার সঙ্গে বোর্ডের খোলামেলা আলোচনা করা উচিত। '
এশিয়া কাপ জিততে না পারার পর মূলত বাবর আজমকে ঘিরে সমালোচনার হাওয়া লেগেছে। আর ব্যাট হাতে ব্যর্থতা আগুনে ঘি ঢালার মতো। মিয়াদাদের মতো অনেকেই মনে করেন, বাবর আজমের কাঁধে অধিনায়কত্বের চাপ পড়ছে। তবে বাবর বরাবরই বলেছেন তিনি অধিনায়কত্ব উপভোগ করেন।
অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে মিয়াঁদাদ আরও বলেন, ''বাবর যদি মনে করেন যে তিনি নেতৃত্ব দেওয়ার সময় ব্যাট হাতে মাঠে পারফর্ম করতে পারবেন না, তাহলে তাঁর অধিনায়ক হওয়া উচিত নয়। তবে বোর্ডকে নিশ্চিত করতে হবে যে বাবরই অধিনায়ক হিসেবে বোর্ডের সেরা পছন্দ।'' অন্য ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে রান পেয়েছেন বাবর। সেঞ্চুরি করেছেন।
পাকিস্তানের কোচ সাকলাইন মুশতাক এর আগে বলেছিলেন, "বাবরের ফিরে আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র।"
এদিন দেশপ্রেমের কথাও বলেছেন মিয়াঁদাদ। তিনি আরও বলেন, 'ক্রিকেটারদের আগে দেশের হয়ে খেলার কথা ভাবা উচিত। দেশের হয়ে খেললে বাড়তি পরিশ্রম অবশ্যই আসবে। সবার বোঝা উচিত যে তারা ভালো বলেই একাদশে সুযোগ পায়। তিনি অযোগ্য হলে সুযোগ পেতেন না। তাই দলের প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে হবে।''
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে ১৬ অক্টোবর। বিশ্বকাপের আগে বাবরের ফর্ম পাকিস্তান ভক্তদের আশা জাগাচ্ছে। দেখা যাক বিশ্বকাপে অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ব্যাট হাতে কেমন করেন পাকিস্তান অধিনায়ক।