ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের পেস বোলার আল আমিনের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিচ্ছেদের খবর বেরিয়ে আসে। তবে এই টাইগার ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় তিনি যথাসময়ে আদালতে হাজির হননি। ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবারও হৈচৈ পড়ে যায়।
টিম বাংলাদেশের সমর্থকদের অনেকেই মনে করছেন, আল আমিনের ঘটনা দেশের ক্রিকেট ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
তবে এ বিষয়ে আল আমিন এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
যৌতুকের দাবিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগে আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। গত ১ সেপ্টেম্বর ইসরাত বাদী হয়ে দুটি ভিন্ন অভিযোগে মামলা করেন। এরপর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে বিবাদীকে ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেখানে হাজির হননি আল আমিন। আইন অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
যৌতুকের দাবিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত মাসে আইনি ব্যবস্থা নেন ইসরাত। 27 সেপ্টেম্বর, তিনি সহবাস, রক্ষণাবেক্ষণ এবং শিশু সমর্থনের দাবিতে একটি মামলা দায়ের করেন। সেখানে আল আমিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। তিনি ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন পান।
৬ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে এই ক্রিকেটার আরও বলেন,
বৈবাহিক তিক্ততা ও অনৈতিকতার কারণে ২৫ আগস্ট তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন।
স্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে, আল আমিন দীর্ঘদিন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি এবং ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেননি।
এর আগে আল আমিনের শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সামনে মানববন্ধন করেন এই ক্রিকেটারের স্ত্রী। আল আমিনের স্ত্রীও আল আমিনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগ আনেন। অন্যদিকে, স্ত্রীর সঙ্গে একাধিক পুরুষের সম্পর্কের অভিযোগ করেছেন এই ক্রিকেটার। তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ইশরাত।
দেশের ক্রিকেটের ব্যাড বয় হিসেবে পরিচিত আল আমিন। 2015 সালে, বিশ্বকাপের সময় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে এই পেসার। ঘরোয়া লিগে রয়েছে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স। এরপর তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ। অনেকেই মনে করছেন, দেশের ক্রিকেটে আল আমিন অধ্যায় শেষ হয়ে গেছে।