বিশ্বকাপে রেকর্ডের কাছাকাছি কোহলি-রোহিত
দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
16 অক্টোবর থেকে বাছাইপর্ব শুরু হলেও,
22 অক্টোবর স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের মূল লড়াই শুরু হবে।
কিন্তু তার আগেই শুরু হয়েছে নানা হিসাব-নিকাশ।
খেলোয়াড়দের ব্যাটে-বলের পারফরম্যান্স নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় এখন পর্যন্ত শীর্ষে রয়েছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে।
শ্রীলঙ্কার এই সাবেক ব্যাটসম্যানই হাজার রান করেছেন। 2007 থেকে 2014 পর্যন্ত,
জয়াবর্ধনে 31টি ম্যাচে মোট 1016 রান করেছিলেন। ১ সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটি।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পাঁচ রান সংগ্রাহকের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয়ও অবসর নিয়েছেন।
2007 থেকে 2021 পর্যন্ত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল 33 ম্যাচে 965 রান করেছিলেন।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার আরেক তিলকরত্নে দিলশান,
যিনি ২০০৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোট ৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন তার ব্যাট হাতে ৮৯৭ রান।
সেরা পাঁচে ভারতের রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি রয়েছেন চতুর্থ ও পঞ্চম। ৩৩ ম্যাচে রোহিতের রান ৮৪৭।
অন্যদিকে, কোহলি মাত্র 21 ম্যাচ খেলে 845 রান করেছেন।
তাদের রানের ব্যবধান মাত্র ২! সর্বোচ্চ পাঁচ রান সংগ্রাহকের মধ্যে এই দুইজনই খেলবেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
রোহিত ও জয়াবর্ধনের রানের পার্থক্য এখন ১৬৯।
অন্যদিকে ১৭১ রান নিয়ে পিছিয়ে রয়েছেন বিরাট কোহলি।
এদিকে, এই বিশ্বকাপে কোনো ইনজুরি সমস্যা না থাকলে প্রথম পর্বে ৫টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন এই দুই ভারতীয়।
সেমিফাইনাল বা ফাইনালে গেলে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। ফলে জয়াবর্ধনেকে ছাড়িয়ে যেতে হবে তাদের।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো ক্রিকেট এখন আর পরিসংখ্যান দিয়ে হিসাব করা হয় না।
যে কারণে সিলেবাসের বাইরেও লড়াই করতে পারেন ডেভিড ওয়ার্নার।
বর্তমানে 762 রান নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা অসি ওপেনার জয়াবর্ধনেকে ছাড়িয়ে যেতে 255 রান প্রয়োজন।
ফর্মে থাকা ওয়ার্নার জয়াবর্ধনেকে ছাড়িয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।