স্টোকস

স্টোকস তার মাতৃভূমি নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন

স্টোকস তার মাতৃভূমি নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন
ইংল্যান্ডের জার্সি পরা ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অনেক কিছু দিয়েছেন তিনি।
2019 সালে, বেন স্টোকস ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়কদের একজন।
কিন্তু আশ্চর্যজনক তথ্য হলো মাতৃভূমি নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারতেন তিনি।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের অবহেলার কারণে নিজের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কিউইদের হয়ে খেলতে পারেননি স্টোকস।
এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পরিকল্পনা।
এমন তথ্যই জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান রস টেলর আত্মজীবনীতে।
1991 সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী স্টোকস 12 বছর বয়সে তার পিতামাতার সাথে ইংল্যান্ডে চলে আসেন।
কিন্তু ইংল্যান্ডের জার্সি পরার আগে দেশের হয়ে খেলার প্রবল ইচ্ছা ছিল স্টোকসের।
2010 সালে ডারহামের হয়ে খেলার সময় স্টোকসের এই ইচ্ছার কথা জানতে পারেন টেলর।
তার আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, ''তাঁর (স্টোকস) বয়স তখন ১৮ বা ১৯ এবং অবশ্যই তিনি কিউই ছিলেন।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম সে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে চায় কিনা। তখন তিনি বেশ আগ্রহী ছিলেন।''
টেলর আরও লিখেছেন, 'সে সময় আমি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জাস্টিন ভরেকে বলেছিলাম যে ছেলেটি,
স্টোকস খুবই প্রতিভাবান ছিলেন এবং তিনি নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন।
এরপর ভন বলেন, তিনি চাইলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারেন।
বাকিটা পরে দেখা হবে। আমি ভনকে বলি তাকে পেতে আমাকে আরও ভালো অফার করতে হবে।
তিনি প্রথম ধাপ থেকে শুরু করতে রাজি হবেন না।''
টেলর তার জীবনীতে আরও লিখেছেন, ''স্টোকস নিউজিল্যান্ড দলে খেলতে আগ্রহী ছিলেন।
নিউজিল্যান্ড বোর্ড যদি আরেকটু নমনীয় হয়ে তাকে আশ্বাস দিত।
কিন্তু ভন তা দিতে আগ্রহী ছিলেন না।
এ কারণেই ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেলা তারকা পেস বোলিং অলরাউন্ডার বর্তমানে ইংল্যান্ড টেস্ট দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড কি একটু আফসোস করে?
উত্তর হতে পারে হ্যাঁ..
2019 বিশ্বকাপ ফাইনালে স্টোকসের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের কারণে নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ জিততে পারেনি।

Subscription

Subscribe to us to receive the latest gaming news.

Traffic data

Provide a full range of digital marketing data reports.

tg